হঠাৎ-ই নির্মাতা অনন্য মামুনের ওপর চটেছেন ঢাকাই ছবির আলোচিত চিত্রনায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল।
অনন্য মামুনকে সামনে পেলে কান ধরে উঠবস করাবেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এক টেলিভিশন টক শোতে উপস্থিত হয়ে এ ব্যবসায়ী ও চিত্রনায়ক বলেছেন – ওর কী যোগ্যতা আছে অনন্ত জলিলের সমালোচনা করার মতো?
বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘দিন: ড্য ডে’ নিয়ে অনন্য মামুনের এক মন্তব্যের জেরেই এভাবেই ক্ষোভ ঝাড়লেন অনন্ত।
‘সাইকো’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি দিতে যাচ্ছেন অনন্য মামুন। ছবিটির সেন্সরও শেষদিকে হয়।
সেই সিনেমা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অনন্য মামুন অনন্ত জলিলের সিনেমার ১০০ কোটি টাকা বাজেট নিয়ে সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে ইঙ্গিতে অনন্তর সমালোচনাও করেন।
পাল্টা জবাবে অনন্ত জলিল বলেন, ‘অনন্য মামুনকে আমি ডিরেক্টর বানিয়েছি। আমার টাকায় ওর ডিরেক্টর ফি (পরিচালক সমিতির সদস্য পদ) পর্যন্ত দিয়েছি, এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। সমালোচনা যদি আমার সামনে কোনো দিন করে আর আমার চোখে পড়ে ওকে (অনন্য মামুন) তো আমি কান ধরে উঠাব-বসাব। ওর এত বড় সাহস কোথা থেকে হলো! ওর কী যোগ্যতা আছে অনন্ত জলিলের সমালোচনা করার মতো। ’
অনন্য মামুনকে উদ্দেশ করে অনন্ত প্রশ্ন করেন, ‘যে তোমাকে ডিরেক্টর বানায়, যে তোমার ডিরেক্টরের ফি-টা পর্যন্ত দেয়, তোমার কী যোগ্যতা আছে তার সমালোচনা করার?’
এ সময় উপস্থাপিকা ডিরেক্টর হিসেবে মামুনকে কত মার্ক দেবেন জানতে চাইলে অনন্ত বলেন, ও কিসের ডিরেক্টর! ওকে কেন মার্কিং দেব?
মূলত: অনন্ত-মামুন দ্বন্দ্ব বেশ পুরনো। ২০১২ সালে ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালনায় নাম লেখান অনন্য মামুন। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছিলেন অনন্ত জলিল। আর ওই এক সিনেমাতেই ঝামেলা বাঁধে দুজনের মধ্যে।
অনন্য মামুনের বক্তব্য, বলিউড নায়িকা স্নেহা উলালকে ঘিরে এই দ্বন্দ্বের শুরু। ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ সিনেমায় স্নেহাকে আইটেম গানে পারফর্ম করতে দেখা গেছে। কিন্তু নায়িকাকে নিতে রাজি ছিলেন না অনন্তর স্ত্রী অভিনেত্রী বর্ষা। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ বাধে। মামুন এ বিষয়ে বর্ষার পক্ষ নিলে অনন্তর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তার।
তবে অনন্য মামুনের এমন বক্তব্যের বিষয়ে কোনো কথা আসেনি অনন্ত জলিলের পক্ষ থেকে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।